আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যতই রঙিন খোয়াব দেখুক না কেন ২০০১ সালের নীল নকশার নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংগ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচন কমিশনই উদ্যোগ নিতে পারেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। পরাজয়ের পর সেই নির্বাচনে ‘স্থূল কারচুপির’ অভিযোগ এনেছিল আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভারত সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা ভারত সফর করিনি। আমার নেতৃত্বে যে টিম ভারতে গিয়েছিল, আমরা বিজেপি’র সেক্রেটারি জেনারেল রামমাধব সাহেবের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। বিএনপি তো কোন আমন্ত্রণে যায়নি। তারা নিজেরা নিজেরা গেছে।
তিনি বলেন, ভারতে গিয়ে আমরা পার্টি টু পার্টি, পিপল টু পিপল কন্ট্যাক্টের কথা বলেছি। আমাদের সঙ্গে মোদি সাহেবেরও দেখা হয়েছে। সেখানেও আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলিনি। আমরা আমাদের ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেছি, তিস্তা নিয়ে কথা বলেছি।
নির্বাচনে সব দলকে আনতে সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা, জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করাসহ সব নির্বাচনী কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে সরকারের করণীয় কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন কোনো সহযোগিতা চাইলে সরকার শুধু সেই সহযোগিতা দেবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল বলেন, এইচ টি ইমাম সাহেবের যে সফর সেটা, একেবারেই সেমি-গভর্নমেন্ট পর্যায়ের। সেটা থিংক ট্যাংক-টু-থিংক ট্যাংক লেভেলের। এটার সাথে আওয়ামী লীগ বা বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই।
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ায় ১০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ দশমিক দুই কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণের ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ এবং আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী শাহ আমানত শাহ সেতুর উভয় পাশে ৪ লেন এবং ৬ লেনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানান মন্ত্রী।