বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এমনকি বিএনপির ভেতরে ও বাইরে একটা চক্রান্ত হচ্ছে। যাতে করে খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হতে না পারেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেশনেত্রী যুব মুক্তি পরিষদ, ঢাকা জেলা’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সংগঠনটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, যারা আজকে বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারা একটা সময় ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। আজকে যারা বিএনপির মাঝে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের বলবো, সেই সময় চলে গেছে। আমরা আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। তারেক রহমান দেশে ফিরবেন এবং আমরাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।
যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের এই দলটাকে দুর্বল করার জন্য বেশকিছু প্রক্রিয়া কাজ করছে। তবে সেই প্রক্রিয়া যেন কাজ না করতে পারে সেদিকে যুবদলকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের কিছু ব্যর্থ নেতাকর্মী রয়েছে, যারা নেতৃত্ব চায় কিন্তু নেতৃত্ব দিতে পারে না।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেনি, তারা আজ ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এদেশকে পরাধীন করার চেষ্টা করছে। দেশের জেলখানায় ৩৫ হাজার বন্দি রাখা যাবে, সেখানে রাখা হয়েছে ৮৫ হাজার বন্দি। কেউ বলছে ৯৫ হাজার। এতে বোঝা যায় কিছুদিন পর পুলিশ চাইলেও আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। কারণ আমাদের জেলখানায় কোনও জায়গা নেই। এই জেলখানায় বন্দি শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরা হবে না, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও হবে। আজকে খালেদা জিয়া শুধু জেলে নয়, গোটা বাংলাদেশ কারাগারে বন্দি।
রেজাউল কবীর পলের সভাপতিত্বে ও ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশরাফ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান প্রমুখ।