কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সরকারি কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে কমিটির প্রতিবেদন দিয়ে তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করে দিন। তা না হলে কিন্তু মতলববাজরা ফায়দা লুটবে। তারা সচেষ্ট।’
সোমবার (১৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারা অন্তরীণ ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোটা সংস্কার নিয়ে চক্রান্ত হচ্ছে দাবি করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘তরুণদের উসকানি দিয়ে ফেসবুক নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করে উত্তেজিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন, কোটা থাকবে না। তারপর কেবিনেট সেক্রোটারিকে দিয়ে কমিটিও করে দিয়েছেন। কেবিনেট সেক্রেটারি কাজ করছেন। সংবিধানের থাকার পরও এটা আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হচ্ছে। অধৈর্য হওয়ার কী আছে? মিছিল মিটিং করার কী আছে?’
এ বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এখানে কিন্তু কোনো কিছু হলেই একটা ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘বিএনপিকে বলব, মাঠে আসনে। খালি মাঠে খেলতে আর ভাল লাগে না। মাঠে আসেন, দেখব কে জেতে কে হারে। রেফারি হবে নির্বাচন কমিশন। দয়া করে আর ফাউল করবেন না। যদি ফাউল করেন তাহলে বাংলার জনগণ লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে।’ এ সময় সদ্যই বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ‘আরেক বিশ্বকাপ’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
নির্বাচনের সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। আমরা জোর করে ক্ষমতায় আসিনি, আসতেও চাই না। তবে সামনের নির্বাচনে বিজয় ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্যই ওই নির্বাচনে আমাদের জিততে হবে।’ এ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়সহ অন্যরা। সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুনুর রশীদ শুভ্র।