ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভিসির বাড়িতে হামলার বিষয়ে ভাবতেও লজ্জা লাগে। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এটা আরও লজ্জার বিষয়। কারণ আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম।’
আজ মঙ্গলবার গণভবনে ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা কি এমন মেধাবী হয়ে গেলো যে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে, পাশ করছে তারা মেধাবী নয়? তাঁরা এ ধরনের কথা বলে কীভাবে? হঠাৎ করে আন্দোলনে যাওয়ারই বা কি দরকার আছে?’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ‘আন্দোলন করলে করবে, কিন্তু ভাঙচুর করা, ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করা, সেখানে ভিসির পরিবার লুকিয়ে থেকে জীবন বাঁচিয়েছে। আমরাও আন্দোলন করেছি। খুব বেশি হলে ভিসির বাড়ির একটা ফুলের টব ভাঙা হতো। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা কখনোও চিন্তাও করতে পারেনি, যে তার (ভিসির) বাড়ির মধ্যে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেবে। ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে গিয়ে লুটপাট করা, চুরি করা এ ধরনের জঘন্য কাজ কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে না।’
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের মহান আত্মত্যাগে স্বাধীনতা এসেছে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। আমি জানি ভাতা দিয়ে সম্মান দেওয়া যায় না। তবে আমি চাই না তাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) কেউ কষ্ট পান।’
উচ্চ আদালতের রায়ের পরও শিক্ষকসহ সমাজের জ্ঞানীরা কোটা আন্দোলনকারীদের কীভাবে সমর্থন দিচ্ছেন এমন প্রশ্নও তিনি তোলেন এসময়। যুদ্ধাপরাধীরা যেন রাষ্ট্র পরিচালনা ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্বে না আসতে পারে- সেদিকে খেয়াল রাখতেও সকলের কাছে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।