বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার তদন্তে কোন অপকর্ম বেরিয়ে এলে দোষীদের ‘কঠিন শাস্তি’ পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “ আমি এটুকু বলতে পারি, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এ ধরনের অপকর্ম করার কোনো সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত আমরা যেটা জানি, এটা হলো ক্লারিকেল এরর। এছাড়া যদি ভেতরে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, সেটার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। যদি কেউ অপকর্ম করে থাকে, তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে কঠিন শাস্তি তাকে পেতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গণসংবর্ধনা’ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি ‘আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ’ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা নিয়ে তাদের কথা বলা ‘মানায় না’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার এক মানববন্ধনে বলেন, সরকার যে দেশের অর্থনীতি ‘ফোকলা করে দিচ্ছে’, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে ‘অনিয়মেই’ তার প্রমাণ।
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “উনি অনেক কথাই বলবেন, কারণ ওনারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে সাত ধারা তুলে দেওয়ার পর তাদের মুখে এটা (সোনা নিয়ে কথা) শোভা পায় না। তারাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। তাদের মুখে অন্যকে দুর্নীতিবাজ বলা শোভা পায় না।”
সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যকে ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য’ হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তবে বিএনপি নেতারা অনেক সময় যে ভাষায় কথা বলেন তা ‘আক্রমণাত্মক’ ও ‘অগণতান্ত্রিক’ হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের বিউটি। কথা হচ্ছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ঠিক আছে, সুস্থ বক্তব্য ঠিক আছে, গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলা ঠিক আছে। গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলাটাই গণতন্ত্রের বিউটি।
“কিন্তু আজ আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি বলছে, দেশে গণতন্ত্র নেই। অগণতান্ত্রিক ভাষায় তারা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ভাষায় শেখ হাসিনা সরকারকে, শেখ হাসিনাকে প্রতিনিয়ত তারা আক্রমণ করে যাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ভাষায় যারা কথা বলে তাদের মুখে কি গণতন্ত্রের বুলি মানায়?”
এ সময় সাংবাদিদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কোটার ওপর ভর করছে বিএনপি।”
সংবর্ধনাস্থল পরিদর্শনের সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।