বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে। ধর্মীয় উস্কানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় এ আবেদন করা হয়।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে এ আবেদনটি করেন মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। তাকে আইনগত সহযোগিতা করেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ ও রওশন আরা সিকদার ডেইজি।
আইনজীবী রওশন আরা সিকদার ডেইজিকে বলেন, খালেদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আইনুযায়ী আমরা খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেছি। এ বিষয়ে কোনো আদেশ এখনও দেয়নি আদালত।
এর আগে ৩০ জুন ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে খালেদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। বক্তৃতার একপর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবর-দখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।
এ বক্তব্যের জের ধরে দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ
দেন।