কুষ্টিয়া সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসীদের দখলে চলে গেছে। প্রশাসন ও পুলিশও সেখানে সন্ত্রাসীদের হয়ে কাজ করছে। কুষ্টিয়ার নেতা নিজেই একজন বড় সন্ত্রাসী। এক সময় কুষ্টিয়াতে আওয়ামী লীগের লোকেরা পালিয়ে বেড়াতো। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনকার প্রযুক্তির গুণে কথোপকথনের কন্ঠ পরিবর্তন করা যায়। কেউ চাইলে আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাপনও তৈরি করে দিতে পারে। অথচ এরকম একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের রাজশাহী জেলা বিএনপি সেক্রেটারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ সেই তথ্যের ভিত্তিতে আবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি নাকি জনগণের কাছে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন ব্লেম গেম করছে।
তিনি বলেন, আমরা যেকোনো সময় সমাবেশ করার আগে ভয় পাই। কারণ ওই যে ব্লেম গেম, ওরাই পটকা মারবে আর ওরাই আমাদের দোষ দিবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ বোঝে আপনারা কী করছেন। তাদের মনে ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে, কখন আপনারা যাবেন। কখন পরিবর্তনটা হবে। সুতরাং পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই ব্লেম গেমটা আপনারা করছেন, আমাদেরকে ব্লেম করার জন্য। ২০১৫ সালের আন্দোলনের সময় এভাবে পেট্রোল বোমার কথা সবার মনে আছে। পত্র-পত্রিকায় দেখা গেছে, যুবলীগ-ছাত্রলীগ ধরা পড়ছে। আর দোষ হয়ে গেল আমাদের।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে আটক রাখার জন্য উচ্চ আদালতও সহযোগিতা করছে। তা না হলে এমন নজির নেই যে আপিল বিভাগের জামিন উচ্চ আদালতে আটকে দেয়। আমরা বিচার ব্যবস্থার ওপর কিভাবে আস্থা রাখবো?