বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন-‘আমি পদত্যাগ করলেই কি সব সমস্যার সমাধান হবে? বরং এই পদে থেকেই সমস্যার সমাধান করা উত্তম। আমি সব সময়ই হাসি। আমার কালো মুখ কেউ কখনও দেখেনি। এটা কি দোষের? এ ঘটনায় আমার ক্ষমা চাওয়ার কথা না। তবুও দুঃখ প্রকাশ করছি।’
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ চান- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শাজাহান খান আরও বলেন- ‘শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় অবশ্যই দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি, বাস চালকেরই দোষ। তবে তদন্তের পরই এর বিচার হবে। আমি আন্দোলনরত ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, অবশ্যই দায়ীদের বিচার হবে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
দুর্ঘটনায় দায়ী বাসের রুট পারমিট বাতিল হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন- ‘বাসের রেষারেষিতেই এ দুর্ঘটনা তবে তা ব্রেক ফেল করার জন্য কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হবে। দোষী যেই হোক না কেন, এ অপমৃত্যুর বিচার হবেই। এ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আগামীকাল মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করব, বৈঠকে এ বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য তিনটি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি যেহেতু পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে জড়িত, তাই এটা অবশ্যই আমার দায়িত্ব। আমি দুর্ঘটনা কমিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। গার্মেন্ট সেক্টরের জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করেছি।’
মন্ত্রী বলেন- ‘আমি ছাত্র ভাই-বোনদের বলবো আপনারা শান্ত হোন, উচ্ছৃঙ্খল হবেন না। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দেয়া হবে। মিনিবাস চালক যারা আছে, তারা রাফটাফ গাড়ি চালায়। এটা আমার নজরে আছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
জাবালে নূর মন্ত্রীর শ্যালকের গাড়ি কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন- ‘১৯৬২ সাল থেকে আমরা গাড়ির ব্যবসা করি। তবে কোন গাড়ির মালিক কে তা আমি জানি না। পাঁচ বছর আগে জাবালে নূরের পরিচালক ছিল আমার শ্যালক। সে এখন নেই।’