রাঙামাটির বেতবুনিয়া ও গাজীপুরের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দুটি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবা কার্যক্রম।
উদ্বোধনের আগে অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নাম সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পরে মন্ত্রীর প্রস্তাবকে গ্রহণ করে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দুটির নাম প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন- মহাকাশে আমরা পৌঁছে গেছি, জাতির পিতার স্বপ্ন সফল হয়েছে। কেউ আর আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ভূমিকা পালন করবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের যে উন্নয়নযাত্রা শুরু হয়েছে, তা যেন আগামীতে অব্যাহত থাকে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিজ্ঞানমনষ্ক তরুণ সমাজ গড়ে তোলার কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের মানুষ একদিন চাঁদে পৌঁছে যাবে, সেই স্বপ্নই তৈরি করছে বর্তমান সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে বিশ্বের কাছে বিভিন্ন সময়ে সম্মানিত করেছে। কেবল শহরের মানুষই নয়, আধুনিক প্রযুক্তির সেবা পাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ বাজেটের চেয়ে কমই হয়েছে, সরকারের টাকা বেঁচে গেছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নাম মহাকাশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কেউ আর তার নাম মুছে ফেলতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে দুই হাজার ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক্যালের আওতায় আনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
গেল ১২ মে বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা ১৪ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু এ দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের মাধ্যমে শুরু হলো সেবা কার্যক্রম।