শিক্ষার্থীদের সাথে রাজপথে পথে নামতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা ও নিপীড়ন এবং বর্তমান রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ আহবান জানান তিনি।
মান্না বলেন, দেশকে বদলানোর জন্য কিশোররা যে আন্দোলনে নেমেছে এখন আমাদের সবার দায়িত্ব তাদের সাথে রাজপথে নামা।
তিনি বলেন, ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যে আন্দোলন শুরু করেছে তাতে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও জনগণ কিন্তু খুশি। তাদের অনেককেই বলতে শুনেছি দেশে যদি কোন কাজ হয় তাহলে এরাই করতে পারবে।
মান্না বলেন, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে কখনো লাইসেন্স দেখতে দেখিনি। সেই দায়িত্ব এখন এই কোমলমতি ছাত্ররা নিয়েছে এটা কি ভালো না খারাপ? আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া কি ভালো? ভালো না তবে যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ ঠিকমত না করে তাহলে তো তাদের কাজ শিখিয়ে দেয়ার জন্য ছাত্ররাই এগিয়ে আসবেই।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বাড়ছেই। কিছুদিন আগে সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে রাজীবের হাত কাটা পড়লো। শেষ পর্যন্ত ছেলেটা মারাই গেল। এরপর প্রেসক্লাবের সামনে এক মহিলা বাস দুর্ঘটনায় মারা গেল। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আর এসব কারণেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের সবার উচিৎ ওদের সাথে এ আন্দোলনে যোগ দেয়া।
আইয়ুব খান আর হাসিনার মধ্যে কোন তফাৎ নেই উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৬৯ এ আইয়ুব খান ছাত্রদের আন্দোলন ঠেকাতে যে পন্থা অবলম্বন করেছিলো। এখন শেখ হাসিনার সরকারও একই পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় পুলিশ দিয়ে ছাত্রদের পেটানো হচ্ছে।
আয়োজক ফোরামের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।