টানা পঞ্চমদিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এদিনও রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স আছে কিনা, দেখছে। থাকলে ছেড়ে দিচ্ছে। না থাকলে সার্জেন্ট ডেকে মামলা দিয়ে দিচ্ছে।
তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ সরকারি গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স নাই। গাড়ির কাগজপত্র থাকছে না। এ কারণে সার্জেন্ট ডেকে সরকারি গাড়িতে মামলা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ফার্মগেটে হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী হাবিবা জানান, আমরা যে কয়টা সরকারি গাড়ি থামিয়েছি, কোনো গাড়িতেই লাইসেন্স ছিল না। এমনকি পুলিশ, বিজিবির গাড়িতেও লাইসেন্স নাই।
এলিফ্যান্ট রোডে থাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী ঋধ্য অনিন্দ্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি গাড়ি থামিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু কোনো লাইসেন্স ছিল না। ডিআইজির গাড়িতেও লাইসেন্স ছিল না। আমরা সার্জেন্টকে ডেকে মামলা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় স্কুল ড্রেস পরেই নেমেছে।