রাজধানীর মিরপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা হয়েছে। প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করলেও পরে একদল ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মী হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মিরপুরের কাফরুলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সেটা মিরপুর-১৩ ও ১৪ নম্বর হয়ে বিআরটিএ অফিস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুলের এক শিক্ষার্থী জানান, মিরপুর-১৪ নম্বরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করছিল। এ সময় পুলিশ আমাদের সরিয়ে দিতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। আহত ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, এরপরে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা আরেকদফা হামলা করে।
জেবা নূর নামে এক অভিভাবক তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে ঘটনাস্থল থেকে জানান, বাচ্চারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল। সকাল থেকেই তারা না খেয়ে আন্দোলনে ছিল। আমরা কয়েকজন খোঁজ নিতে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়। ধাওয়া করা হয়। মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হাত তোলা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করা হয়। প্রথমে পুলিশ, পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা হামলা করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার ইয়াসমীন সাইকা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, স্টুডেন্টরা কোনো কারণ ছাড়াই কাফরুল থানায় হামলা চালায়, পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ কারণে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে।