শিক্ষার্থীদের নয়টি দাবির মধ্যে এরই মধ্যে কয়েকটি বাস্তবায়নের শুধু উদ্যোগ নয়, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে কোমলমতি এই ছোট ছেলে-মেয়েদের ওপর কোনো দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা ধৈর্য ধরে যাব। আমরা আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে ছোট ছেলে মেয়েদের ওপর কোনো দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। সেই কারণে পুলিশ নানাভাবে অপদস্থ এবং হয়রানির শিকার হয়েও রাজনৈতিক অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ধৈর্য ধারণ করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চালকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আইন আনুযায়ী বিচারের আওতায় এনে তাদের বিচারকাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি আন্ডার পাস নির্মাণের দাবি করা হয়েছে। যা নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেছে। ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। টেন্ডার না করে কাজটি দ্রুত করতে সেনাবাহিনীকে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে আজ শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাঁচটি বাস হস্তান্তর করা হয়।
গত রোববার ২৯ জুলাই কর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের নিজ কার্যালয়ে নিয়ে এসে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান। এসময় নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে পাঁচটি বাস দেওয়াসহ নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে ও দুর্ঘটনারোধে রমিজ উদ্দিন স্কুল সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কে আন্ডারপাস নির্মাণ, দেশের প্রতিটি স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানো এবং শুধু স্কুলের জন্য প্ল্যাকার্ড সম্বলিত বিশেষ ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।