আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ‘চুমুর’ কথা বলায় দুঃখ প্রকাশ করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ (রোববার) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের তার এ মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্যে কেউ কষ্ট পেলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এ বক্তব্য মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে। রাজনীতিতে এ ধরনের শব্দ ব্যবহারও হয়, কিন্তু কেউ আমার কাছে আশা করে না।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘এখন আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে গুলি করতে করতে আসবেন, তাদের কে কি বলপ্রয়োগ করবে না? চুমু খাবে?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিতে চাচ্ছে, তা সত্য প্রমাণ হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করছে। তারা নয় বছরের আন্দোলনের ব্যর্থতা ঢাকতে কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করছে। আর সে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এবার শিক্ষার্থীদের নিষ্পাপ আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনকে পুঁজি করে তারা (বিএনপি) সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছে। তা না হলে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা করার মতো দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারত না।
কাদের আরও বলেন, হামলাকারীরা আজ পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এবং পেছন দিক থেকে হামলা করেছে। পুলিশি বাধায় তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে।
কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নাকি ৭ জনকে আটকে রেখে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক মডেলের ভিডিও গুজবের সাফাই গেয়েছেন।’ আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
তিনি বলেন, আজ দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ থেকে একটি মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করেছে। তারা পুলিশি বাধায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। হামলাকারীরা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনের কর্মী।
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ধৈর্য্য সহকারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন মোকাবেলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। দু’একটি জায়গায় ছাড়া অবস্থান দেখা যায়নি। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনও প্রতিকূল পরিবেশে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।