গতকাল দায়িত্বরত অবস্থায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত এ অভিযোগ নাকজ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী যদি জড়িত থাকে তাহলে আমাকে তথ্য প্রমাণ দিন। আমি তাদের বিচার করবো।’
সোমবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন আইনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই আইনটি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। ওয়েব সাইডে দিয়েও জনমত যাচাই করেছি। এবার এটা পার্লামেন্টে যাবে। সেখানে পাশ হলে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। কাজেই এটা নিয়ে আরো আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’
সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার। এখানে যে সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তবে সেটা অপরাধের পরিমাপের ওপর নির্ধারিত হবে। মানে কিলিং যদি উদ্দেশমূলক হয় কিংবা প্রমাণ হয় ডেলিভারেড কিলিং সেই মামলাটি চলে যাবে ৩০২ ধারায়। সেখানে মৃত্যুদণ্ড হবে। এছাড়া বেপরোয়া চালনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে চালকের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর শাস্তি হবে।’
সড়ক পরিবহন আইনে চালকের সাজা ৭ বছর করার জন্য আদালতের একটি পর্যবেক্ষণ ছিলো- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আদালত আদালতের কথা বলেছে। আমরা অভিজ্ঞতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি যে শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেখানে ৩০২ ধারা প্রযোজ্য হতে পারে। এছাড়া নয় দফা বাস্তবায়নে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রাথমিক দায়িত্বগুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
‘তাদের এরই মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের যেকোন প্রয়োজনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তাদের পাশে থাকবেন বলেও তাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’
‘এখন খুশির কথা হলো ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। যতো দূর খবর পেয়েছি তারা ঘরে ফিরে গেছে।’