২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপান বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে সোহেল তাজ। দায়িত্বপালনের কিছুদিনের মধ্যে পতদ্যাগ করেন তিনি। শুধু পদত্যাগই নয় ক্ষোপে সংসদ সদস্য পদ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান বিদেশে।
দেশের বাইরে থাকলেও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কিছু কিছু স্ট্যাটাসে আলোচনার জন্ম দেয়া সোহেল তাজ এবার স্ট্যাটাস দিলেন ‘স্বৈরাচারী শাসন’ নিয়ে।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার ৭ টি নিদর্শন উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
“বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদ এর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্ম লগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বৈরাচারীবিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।
ইদানিং কালে আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কি তা হয়তো ভুলে গিয়েছি। নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কি চিহ্নিত করতে পারি।
স্বৈরাচারী শাসন
১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ব্যাক্ত করতে ভয় পায়।
২. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়
৩. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়।
৪. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ কে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়
৫. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশ সহ অন্যন্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়
৬. যখন সাধারণ নাগরিক সহ সকলের কথা বার্তা, ফোন আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়
৭. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়