আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেছে দীর্ঘ ৬ মাস যাবত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর ‘অসুস্থ’ হওয়ার পরও কেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে চান না। এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় কোনো আস্থা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিন (৮ আগস্ট) সকালে তাকে হাসপাতলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে শহিদুল আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করার মতো কোনও অবস্থা হয়নি জানিয়ে তাকে বিকেলেই ফেরত পাঠিয়ে দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে তাকে ফের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী এই ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘নির্যাতিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে উচ্চ আদালত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসএমএমইউ সরকারের হুকুমে তাকে ভর্তি নেয়নি। এরা কতটা নিষ্ঠুর যে, একজন নির্যাতনে অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালেত আপিল করেছেন, যেন শহিদুল আলম হাসপাতালে সুচিকিৎসা না পান। এই ঘটনায় আবারও কি প্রমাণ করার দরকার আছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকারি এই পিজি হাসপাতালে সুচিকিৎসা পাবেন?
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।