নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একাট্টা হয়ে ড. কামাল হোসেন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়মন্ত্রী অ্যাডভোকটে আনিসুল হক।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মূলগ্রাম ইউনিয়নের চারগাছ কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, শিশুরা আন্দোলন করলো নিরাপদ সড়কের জন্য। আমরা তাদের বলেছি, দাবি সঠিক। সড়ক নিরাপদ করতে হবে, করবো। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি তোমরা ফিরে যাও। তারা ফিরে যাচ্ছিল। তখন ড. কামাল হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একাট্টা হয়ে ষড়যন্ত্র করেছে যে সরকারকে ফেলে দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা ছাত্রদের ওই আন্দোলনে উত্তাপ দিয়ে সরকার পতন করার অপচেষ্টা করেছিলো।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না এমন অবান্তর অভিযোগ তুলে এখন থেকেই বিএনপি ও তার দোসররা নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন,আমার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ষাটের দশকে এক মামলায় বিচারক বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধের ফিরিস্তি গেয়েছেন। আমার বাবা তাকে শেখালেন ওই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে। বিচারক আবার তাকে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, যা করেছি বেশ করেছি। আমার বাংলার মানুষের জন্য আমি আরো করবো। এই হলো বঙ্গবন্ধু। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও কোনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করবেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচয় করিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ তার নেতৃত্বেই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর একটি উন্নত রাষ্ট্র।
মূলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো.শাহ আলমের সভাপতিত্বে শোক সভায় উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ন-আহবায়ক এমজি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো.মাইনুল ইসলাম, কসবা পৌর কাউন্সিলর আবু জাহের, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।