সরকারি বর্বরতার দৃশ্য দেখে, গণতন্ত্র হরণের স্বৈরাচারী বীভৎসতা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে এক ভিন্ন রকমের প্রতিবাদ করেছে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র মুশফিক মাহবুব। তিনি তার কষ্টের কথা ফেসবুকে লিখে গেছেন।
বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শিশু-কিশোররা রাস্তায় নেমেছিল নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনে। আবেগাপ্লুত অনেক স্লোগানে তারা মানুষের হৃদয়কে শুধু দোলায় দেয়নি বরং ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়েছে, কর্তব্যবোধ সম্বন্ধে সচেতন করেছে। এ আন্দোলনের সমর্থনকারীদেরকে বলা হচ্ছে উসকানিদাতা। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ফেসবুক ব্যবহারকারী, রাজনৈতিক দল- যারা এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের হিড়িক চলছে।
তিনি বলেন, রিমান্ডে নিয়ে শেখানো বুলি স্বীকার করতে উৎপীড়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্রীদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া নজীরবিহীন। এ সংবাদ মানুষের শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, ভয়াল আতঙ্কের সৃষ্টি করছে পড়ুয়াদের অভিভাবক ও দেশবাসীর মনে। সরকারি বর্বরতার দৃশ্য দেখে, গণতন্ত্র হরণের স্বৈরাচারি বিভৎস্যতা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে এক ভিন্ন রকমের প্রতিবাদ করেছে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র মুশফিক মাহবুব। তিনি তার কষ্টের কথা ফেসবুকে লিখে গেছেন।
রিজভী বলেন, আমরা ক্ষতিকর গুজবের পক্ষে নই, তবে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে পা গুড়া করে পঙ্গু করে দেয়া এবং শহীদ মিনারে একজন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করা কি গুজব? পুলিশ ও হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের একযোগে শিশু-কিশোর ও সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া কি গুজব? এগুলোতো সবার সামনেই ঘটেছে। এদের কেন বিচারের আওতা থেকে দূরে রাখা হয়েছে?
রিজভী বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) নানা রকম দুঃস্বপ্নে অস্থির ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মানুষের বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে হরণ করে যে শূন্যতার সৃষ্টি করেছেন তাতে ধেয়ে আসা প্রতিবাদী মানুষের টর্নেডোতে ভয় পেয়ে তারা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। তাই কখনও ভয়ের কথা বলছেন, কখনও ধমকের সুরে কথা বলছেন।