সংকটে থাকা’ বিএনপিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নতুন করে সংকটে ফেলবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, সেপ্টেম্বরে রায়ের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার কারণেই বিএনপি নেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে দেশের মানুষ খুশি। বিএনপি শুধু অখুশি, কারণ এই হত্যাকণ্ডের সঙ্গে বিএনপির নেতারা জড়িত।’
১৪ বছর আগে এই হামলায় নিহত আইভী রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে চালানো হামলায় নিহত হন মোট ২২ জন। আহত হয় কয়েকশ নেতা-কর্মী।
হামলার দিন পা উড়ে যাওয়া প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারান ২৪ আগস্ট। আর ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে শুক্রবার সকালে বনানী কবরস্থানে যান ওবায়দুল কাদের।
এই মামলায় রাষ্ট্রপতি যে ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে তাদের মধ্যে তারেক রহমানও আছেন। আর রায়ের আগে আগে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, শেখ হাসিনার এই বক্তব্য রায়কে প্রভাবিত করবে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তো বুঝতে পারলাম না, কীভাবে, কী প্রভাব পড়বে। আজকে আমিসহ ৫শ জন তো এখনও পঙ্গু; কেউ অর্ধপঙ্গু কেউ পুরো পঙ্গু এখনও আছে, হুইল চেয়ারে চলে। এই হত্যাকান্ডের কি বিচার হবে না?’
‘এখানে তাদের কেন গায়ে জ্বালা? কারণ, তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।’
হত্যাকারী যেই হোক, যত প্রভাবশালীই হোক, ক্ষমা পাবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিচারের রায় আমরা প্রভাবিত করতে চাই না, নিরপেক্ষ বিচার হচ্ছে, স্বাধীন বিচার হবে। বিচারে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, শাস্তি তাদের পেতেই হবে।’
কাদের বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে রায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ কথা শুনেই তো বিএনপি এখন এ নিয়ে চিন্তিত। এটা আবার তাদেরকে নতুন করে রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দেবে। তারা এমনিতেই সংকটে আছে।’
বিএনপির পরিকল্পনায়, তাদের নির্দেশনায়, তাদের নিয়োগ করা, তাদের ভাড়া করা ‘পলিটিক্যাল কিলারস’ এই হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি তো আলামত পুড়িয়ে ফেলেছে, এফবিআইকে তদন্ত করতে দেয়নি, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে আসতে দেয়নি এবং জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছে। ’
‘এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে, এই নৃশংস গ্রেনেড হামলা যা রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। এর বিচার তো তারা করেনি, প্রহসনমূলক একটা তদন্ত কমিটি করেছিল। সে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ছিল হাস্যকর।’
‘এখন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে দেশের মানুষ খুশি। বিএনপি শুধু অখুশি, কারণ এই হত্যাকণ্ডের সঙ্গে মঞ্চের নেপথ্যে বিএনপির নেতারা জড়িত।’