বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮ এ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কয়েকটি বিষয়ে সংশোধন এনে সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এই অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সংশোধিত শ্রমআইনে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্য রয়েছে শ্রমিকদের উৎসব ভাতা বাধ্যতামূলক; কিশোররা কাজ করতে পারবে, শিশুরা নয়; দুর্ঘটনায় কোনো শ্রমিক নিহত হলে তার ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ দিতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে মালিক ও শ্রমিকদের অসদাচরণ বা বিধান লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। আগে কারাদণ্ডের পরিমাণ ছিল ২ বছর।’
তিনি জানান, ‘এই আইনের উল্লেখযোগ্য সংশোধনের প্রস্তাবগুলো হলো- কোনও কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ২০ শতাংশের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে। এর আগে ৩০ শতাংশ লাগতো। ১৪ বছর বয়সের নিচে কোনও শিশুকে কোনও কারখানায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরদের কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কারখানায় নারী শ্রমিকরা ৮ সপ্তাহের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এর ব্যত্যয় হলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।’
সচিব জানান, ‘কোনও নারী শ্রমিক সন্তানসম্ভবা হলে তার প্রমাণ পেশ করার ৩ দিনের মধ্যে ছুটি দিতে হবে। ৫১ শতাংশ শ্রমিকের অনুমতি সাপেক্ষে ধর্মঘট করা যাবে। যেকোনও শ্রম আদালতে ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। নাহলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই করতে হবে। যদি এই ১৮০ দিনের মধ্যেও যদি নিষ্পত্তি না হয় তাহলে বাকি পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে।’