খালেদার সুবিধার জন্যই কারাগারে আদালত: ওবায়দুল কাদের
কারাগারে আদালত বসানোর ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার সুবিধার কথাই সরকার বিবেচনা করেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির বিরোধিতার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “বয়স বিবেচনায় তার পক্ষে কোর্টে মুভ করা সব সময় হয়ত সম্ভব না। জিয়া চ্যারিটেবল যে মামলা, সেই মামলায়ও তো তিনি হাজিরা দিচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় তাকে হাজিরা দেওয়া সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এই বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা।”
বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গে যৌথসভা শেষে কাদের এসব বলেন।
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের যে কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে ৭৩ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন রয়েছেন, সেই কারাগারেই আদালত স্থাপন করেছে সরকার।
মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বুধবারই ওই কারাগারে স্থাপিত ঢাকার জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে মামলার শুনানি চলে। খালেদা শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবীরা।
তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব সংবিধানের লঙ্ঘন বলেছেন। কী কারণে? কোথায় লেখা আছে যে এই ধরনের আদালত বসতে পারবে না? সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে জেলের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা করা যাবে না।”
সংবিধানের ৩৫ (৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, এভাবে ‘ক্যামেরা ট্রায়াল’ সংবিধান পরিপন্থি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে বিএনপি ‘ছলনার’ অপকৌশল নিয়েছে।
তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “কারাগারে মধ্যে কোর্ট বসানো, এটা তো ইন্ট্রোডিউজ (চালু) করেছেন জেনারেল জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহেরকে জেলে কোর্ট বসিয়ে ফাঁসি দিয়েছিলেন। এটা কি বিএনপি ভুলে গেছে?
কীভাবে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়েছিল? কোথায় হয়েছিল?”
বিএনপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর বিচার বিলম্বিত করছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থাকে এইভাবে সংবিধান লংঘন করা যারা বলে, তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।”
দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কাদের। তার সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মহিবুল হাসান নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।