বর্তমান সরকার এখন আদালতকেও কারাগারে বন্দি করেছে। যেমন ভাবে দেশের বিপুল জনসমর্থিত নেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখে গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রাখা হয়েছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আপনারা দেখেছেন, বুধবার হুইল চেয়ারে করে দেশনেত্রীকে নিয়ে আসা হয়েছে। হাত-পা নড়াতে তার অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে, রীতিমতো কাঁপছিলেন এবং চেয়ার থেকে দাঁড়াতে পারছিলেন না। বারবার দাবি করা সত্যেও তার সু-চিকিৎসায় সরকার অবহেলা করেছে। সরকার আইন-কানুনের কোনও ধার ধারছে না।
রিজভী আরও বলেন, খালেদা জিয়ার ওপর যে অবিচার চলছে তা মানবধিকার লঙ্ঘন। এটি সরকারের বেআইনি হিংস্র আচরণ। এর জবাব ক্ষমতাসীনদের জনগণের কাছে দিতেই হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহে প্রাপ্ত তথ্যমতে সারাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি। মামলা হয়েছে বারো শতাধিক। এতে আসামি ৯১ হাজার। যার মধ্যে নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে সংখ্যা ১১ হাজার এবং অজ্ঞাতনামা প্রায় ৮০ হাজার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এবার সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার লজ্জাজনক পরাজয় হবে। তাই একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করার জন্য সারাদেশে বিরোধীদল শূন্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা তকদির হোসেন মো. জসিম এবং আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।