সেনাবাহিনী ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার একটি অমানবিক ও দানবিক সরকার। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। তাই নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে বিএনপির বয়োবৃদ্ধ নেতাদের জেলে বন্দি করে রেখেছে সরকার। দলের নেত্রীসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির জন্য আরো ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বীর চট্টগ্রাম থেকে অতীতের মত আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াবে নেতাকর্মীরা।
ওয়াহিদুল আলমের মত দলের প্রতি অনুগত নেতা রাজনৈতিক অঙ্গনে আর জন্ম নেবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
তিনি বলেন, মৃত্যুকালে সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের দুঃখ ছিল একটাই নেত্রীকে মুক্ত দেখে যেতে পারেননি। রাজনৈতিক জীবনে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি করার আহ্বানই ছিল সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ইচ্ছা।
বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও সতর্ক করে দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে ওয়াহিদুল আলমের অবদান আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন ছিলেন তিনি। প্রতিটি রাজনৈতিক সংকটে ছিলেন সহায়কের ভূমিকায়। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ। রাজনীতিতে তার অবদান ছিল অসাধারণ।
হাটহাজারীর লালিয়ারহাট মাদরাসা মাঠে চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, জয়নাল আবেদিন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, মাহবুবুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ডা. শাহাদাত হোসেন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা দলের নেত্রী সুলতানা আহমেদ, বেগম নুরী আরা ছাফা প্রমুখ।