নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
দাবিগুলো হলো:
১. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
২. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাক্, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
৩. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রছাত্রীসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে এবং গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা যাবে না।
৪. নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে নির্বাচনের পর ১০ দিন পর্যন্ত মোট ৪০ দিন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।
৫. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ও পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর যুগোপযোগী সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, প্রমুখ।
এদিকে জাতীয় ঐক্যের পূর্ব নির্ধারিত এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা (বি) চৌধুরী। কর্মসূচিতে আসার পথে মগবাজারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।