দক্ষ ও বুদ্ধিভিত্তিক জাতি গঠনে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিমান উন্নয়ন অত্যাবশ্যকীয় । খাদ্যে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। সময় এসেছে এখন খাদ্যে পুষ্টিমান নিরুপণ করার।
আজ (রবিবার) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ এর সেচ ভবনে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর প্রধান কার্যালয়ে খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্প (বারটান অংগ) এর আওতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার ৯বম/তদূর্ধ্ব গ্রেডের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর পরিচালক (যুগ্মসচিব) কাজী আবুল কালাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) ড. মো. আবদুল মুঈদ বলেন, নিরাপদ খাদ্যের দিকে আমাদের ধাবিত হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬ শতাংশ মহিলা রক্ত স¦ল্পতায় ভোগছেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন হওয়ার পরও পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। বর্হিবিশ্বে খাদ্য গ্রহণ করার আগে ক্যালরি পরিমাপ করে খাদ্য গ্রহণ করে। জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়নে তাই জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রকল্প পরিচালক মহাম্মদ মাইদুর রহমান বলেন, এ প্রকল্প ২৯ টি জেলার হাওর-বাওর ও দারিদ্র প্রবণ ৮৮ টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন ও পুষ্টি সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী আবুল কালাম প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের ফলে আপনারা যে জ্ঞান অর্জন করবেন তা স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে খাদ্য, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জ্ঞান জনগণকে অবহিত করার ফলেই আজকের এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সার্থক হবে’।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বারটান-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (চঃদাঃ) ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক জ্যোতি লাল বড়–য়া বলেন,‘মারাত্মক অপুষ্টি জনিত খর্বাকৃতি ও কৃশকায় বাংলাদেশে প্রকট আকারে বিদ্যমান। জন সাধারণের পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতার অভাব, রন্ধন প্রক্রিয়ায় পুষ্টির অপচয় ও খাদ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় পুষ্টির অপচয় এর অন্যতম কারণ’।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বারটান-এর প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পুষ্টি পরামর্শক মো. মাহফুজ আলী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বারটানের বিজ্ঞানী ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারটান-এর সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. কাওসার আহমেদ।
এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২৭ টি সেসন থাকবে এবং বারডেমে সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে’।