একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নোয়াখালী-১ এবং নোয়াখালী-৩ আসনে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আগাম প্রচার-প্রচারণা। চলছে বিএনপির হারানো আসন পুনঃরুদ্ধার এবং আওয়ামী লীগের আসন ধরে রাখার লড়াই।
জানা গেছে, চাটখিল ও সোনাইমুড়ির একাংশ নিয়ে গঠিত এখানকার সংসদীয় আসন, নোয়াখালী-১। ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯ জন ভোটারের এ আসনে পরপর ৫ বার বিএনপি নির্বাচিত হলেও সর্বশেষ ২০১৪ সালে আসনটি আসে আওয়ামী লীগের হাতে।
এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনেরও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এ আসনের সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম। নির্বাচনী মনোনয়নের দৌড়ে ক্ষমতাসীন এ দলের পক্ষে মাঠে আছেন, বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ৫ জন।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। জনগণ নৌকা মার্কাকেই জয়যুক্ত করবে।
কিন্তু বিএনপির মনোনয়নের দৌড়ে এখনো একক প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার মাহাবুব উদ্দন খোকন।
এদিকে, শুধুমাত্র বেগমগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৩ আসনের চিত্রও প্রায় একই। আগামী নির্বাচনে দলের টিকিট পেতে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তৃণমূলেও দৌড়ঝাপ করছেন ছোট-বড় সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নোয়াখালী জেলা রাজনীতিতে গুরত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত নোয়াখালী-৩ আসনে এর আগে চারবার বিএনপি রাজত্ব করলেও, ২০১৪ সালে প্রথমবার আসে এই আসন আছে আওয়ামী লীগের হাতে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মামুনুর রশিদ কিরণ জানান, আওয়ামী লীগের কোনো বিভেদ নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবেই কাজ করছে। জনগণ নৌকা মার্কাকেই জয়যুক্ত করবে।
অন্যদিকে, বিএনপির দুর্গ বলে খ্যাত এ আসনটি ২০১৪ সালে হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই তা পুনরায় উদ্ধার করতে মরিয়া বিএনপি।
তবে নোয়াখালী এবং নোয়াখালীবাসীর উন্নয়ণে যে কাজ করবে এমন ব্যক্তিকেই প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান ভোটারা।