আগামী ১ মাসে দেশের অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটবে বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘সময় আর বেশি দেরি নাই, সময় ফুড়িয়ে আসছে। বিরাট চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে, আমরা কীভাবে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো সেটির চ্যালেঞ্জ। আর এক মাস সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে দেশের অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে। আমাদেরকে এমন প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে এই সরকারকে বাধ্য করা যায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘ভোটাধিকার-ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার : বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। ১৪ দল ছাড়া সবাই ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সবার দাবি একটাই- নিরপেক্ষ নির্বাচন।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের মেডিকেল বোর্ড গঠন প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয় দাবি করে মওদুদ বলেন, ‘বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। যারা তাকে দেখে এসেছেন তাদের বর্ণনা শুনলে চোখে পানি এসে যায়। আমরা তাঁর (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি। তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করলেও কথা অনুযায়ী কাজ করেননি। যাদেরকে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তারা সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগার।’
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে ছলছাতুরি করা হচ্ছে তার জবাব একদিন দিতে হবে। অবিলম্বে তাঁর চিকিৎসার জন্য নতুন বোর্ড গঠন করা হোক।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রাখার সরকার গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছে তার সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন প্রজম্ম বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগ কেমন রাজনৈতিক দল। এটাও একটা প্রতারণা। এর আগেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।’
প্রতারণার জন্য আগামী নির্বাচনে নতুন প্রজম্ম আওয়ামী লীগকে আর ভোট দিবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আ স ম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।