গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিএনপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পূর্বনির্বারিত সময় বিকেল ৩টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ আগেই নাট্যমঞ্চের সমাবেশস্থলে আসেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তার আগে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণফোরাম নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে থাকেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিয়ে দলটির কিছু নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। এসময় তারা ‘জাতীয় ঐক্য জিন্দাবাদ’ বলেও স্লোগান দেয়।
বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সমাবেশ উপস্থিত হন দলটির স্থায়ী কমিটির আরও তিন সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ ও আবদুল মইন খান।
এর কিছু আগেই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিকল্পধারা সভাপতি ও যুক্তফ্রন্ট সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর।
এদিকে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ সমাবেশে যুক্তফ্রন্টের শরিক দুই দল জাসদের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায় মাহমুদুর রহমান মান্নাও ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন। বিএনপির পক্ষে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ডা. জাফরুল্লাহও যোগ দিয়েছেন সমাবেশে।
বিকেল সাড়ে তিনটায় সমাবেশের সূচনা বক্তব্য দেন ড. কামাল হোসেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই তাদের এই ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশ বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন মানুষের ভোটাধিকার নেই। মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
তবে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত বিকেল ৪টা নাগাদ বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি বি.চৌধুরী সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হননি।