বিএনপির পূর্বঘোষিত আগামী শনিবারের জনসভায় দলের ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও কর্মসূচির কথা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ঢাকা জেলা, গাজীপুর, টাঈাইল, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২৯ সেপ্টেম্বরের জনসভায় আমরা দলের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দিবো। ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধরবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনসভার জন্য ২৭ তারিখ অনুমতি চেয়ে ছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়- ২৯ তারিখ শনিবার ছুটির দিন সমাবেশ করলে ভালো হয়। সেইভাবে জনসভার অনুমতির জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখন ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। ওদিন নাকি আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতবিনিময় মহানগর নাট্যমঞ্চ আর আমাদের জনসভা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী হবে। এখানে বিরোধের সম্পর্কটা কোথায়?’
অন্য কোনো দিনের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে কিনা এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো ২৯ তারিখই অনুমতি চেয়েছি।’
জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার নেতাদের বিএনপির জনসভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন সব বলে দিলে হবে না তো।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা হেলাল খান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী,প্রমুখ।