মেঘনা ও দাউদকান্দিতে দুটি স্যাটেলাইট টাউন তৈরি করবো: প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর। ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৪০ বছর ধাপে ধাপে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই প্রকৌশলী। বুয়েট নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক , সভাপতি; বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েটের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জিএস (১৯৮৯), বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের দুবার জিএস, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি এবং বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। একইসাথে তিনি সিন্ডিকেট সদস্য, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট); একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, চুয়েট, রুয়েট, কুয়েট; আইডব্লিউএম ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য; সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১ আসন (দাউদকান্দি-মেঘনা) থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়ন, এলাকার উন্নয়ন এবং সমসাময়িক নানা ইস্যুতে পলিটিক্সনিউজের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর।
পলিটিক্সনিউজ: আওয়ামী লীগের মত একটি বড় দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। আপনার অনুভূতি জানতে চাই?
আব্দুস সবুর: স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের মত একটি ঐতিহ্যবাহী দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া গৌরব ও সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ জন্য আমি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ই আগস্টের নিহত তার পরিবার বর্গের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। শ্রদ্ধা নিবেদন করি নিহত জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোনকে। আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।
পলিটিক্সনিউজ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে আ.লীগ সরকারের করণীয় দিকগুলো কী হতে পারে ?
আব্দুস সবুর: বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। পৃথিবী শ্রম যন্ত্রনির্ভর আধুনিক যুগ হতে মেধাযন্ত্র নির্ভর তথ্য-প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে। বিশ্বের যে দেশ যত দ্রুত তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করছে, সেই দেশ তত বেশি পরিবর্তন ঘটছে। শ্রম নির্ভর সমাজকে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ইতোমধ্যেই দেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন নতুন নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশা করি উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ক্ষুদ্র সহযোগী হয়ে সকল প্রযুক্তিবিদ ও দেশবাসী বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাথে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশকে আমরা শীঘ্রই বিশ্বের প্রযুক্তিতে নেতৃত্বদানকারী দেশে পরিণত করতে সক্ষম হবো।
পলিটিক্সনিউজ: এক শ্রেণির মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। সরকার এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারকে কিভাবে সহায়তা করবেন ?
আব্দুস সবুর: ফেসবুক, মেইল, টুইটার ইত্যাদি বর্তমান বিশ্বের তরুণ-তরুণীরা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। এসব মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যেমন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয় তেমনি উন্নয়নের জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধও করা যায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জনগণের সেবা নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহার শুরু করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যাতে খারাপ কাজে ব্যবহার না হয় এবং এগুলো ভালো কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়, তার জন্য সরকারের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছি।
পলিটিক্সনিউজ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সরকারের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
আব্দুস সবুর: দেশের উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রধান সহায়ক শক্তি হিসেবে গ্রহণ করায় ৭% এর অধিক জিডিপি অর্জন করেছে সরকার। অবাক করেছে সারা বিশ্বকে। বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোও আমাদের জিডিপির হারে হতভম্ব। এটাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাফল্যের উদাহরণ। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা। বাংলাদেশের উন্নয়নের কৌশল। বর্তমান বিশ্বের উন্নয়ন গতানুগতিক পরিবেশে হাজারও বছর পুরাতন সূত্র প্রয়োগে হবে না। এখানে প্রয়োজন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। যেখানে প্রয়োজন গবেষণা ও উদ্ভাবন। ডিজিটাল বাংলাদেশ তেমনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনের ফসল। দেশ উন্নত দেশে পরিণত করার সোপান। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ও বাস্তবায়নই এ দেশকে নিয়ে যাবে পৃথিবীর শীর্ষ বিন্দুতে। উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সরকারি ও বেসরকারি অফিসকে স্বয়ংক্রিয় করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নিজস্ব ক্ষমতাবলে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে জনবলকে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রতিটি সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার তৈরিতে। দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো মেধা ও সময়। মেধার সৃষ্টি ও উন্নয়ন এবং সময়ের সঠিক ব্যবহারই আমাদের পৌঁছে দিবে উন্নয়নের শীর্ষে। কোন বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয় বরং সামগ্রিকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সর্বদায় প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, নতুন পরিকল্পনা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উদ্যোগী। কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নয় বরং প্রতিটি কর্মকাণ্ডে প্রতি মুহূর্তের নতুন গবেষণা, আবিষ্কার ও তার বাস্তবায়নই আওয়ামী লীগ সরকারের চেষ্টা।
পলিটিক্সনিউজ: আওয়ামী লীগের ভিশন বাংলাদেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করা। সেক্ষেত্রে দলকে কতটুকু সহায়তা করতে পারবেন ?
আব্দুস সবুর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বিশ্বের ক্রান্তিলগ্ন পরিবর্তনে বাংলাদেশ অনেক দেশকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে চলেছে। এ ক্ষেত্রে একজন প্রকৌশলী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে তাঁদের দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের এ প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে আরও বেগবান করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাব।
পলিটিক্সনিউজ: দেশে সাইবার ক্রাইম থেমে নেই। এই অপরাধ কেন নির্মূল করা যাচ্ছে না ?
আব্দুস সবুর: প্রযুক্তি জগতে অসংখ্য ভাল প্রযুক্তিবিদ দেশকে সমৃদ্ধ করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে প্রযুক্তিবিদদের মাঝ থেকে দুই-একজন খারাপ প্রযুক্তিবিদ থাকবে তা নির্মূল করা যাবে না। তবে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার এ দুষ্টু চক্রকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশবাসীর প্রশংসাও অর্জন করেছেন। যা অন্য দলগুলো ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পারেনি। উপরন্তু বিস্তার লাভ করেছিল। আমরা সাইবার অপরাধ দমন করতে পারছি না এটি সত্য নয়। সাইবার অপরাধ দমনের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি, কম্পিউটার, ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন, আইনপ্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ সাইবার অপরাধ দমনের জন্য আলাদা শাখা তৈরি ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণে এ সরকার যে সাফল্য দেখিয়েছে তা কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও প্রশংসিত হয়েছে। আমরা শুধু উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে থেমে থাকছি না। নতুন নতুন উদ্যোগ ও পরিকল্পনার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ দমনে বাংলাদেশ সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
পলিটিক্সনিউজ: রাজনীতিতে হাতেখড়ি কার কাছে। তার আদর্শ আপনাকে কেন উদ্বুদ্ধ করেছে ?
আব্দুস সবুর: প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে হাতে খড়ি ১৯৭৮ সালের কলেজ জীবন থেকেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই উদ্বুদ্ধ করেছে আমাকে। তারই আদর্শ বাস্তবায়নে রাজনীতিতে পা রাখা।
পলিটিক্সনিউজ: প্রকৌশলী হয়ে কেন রাজনীতিতে আসলেন। এখান থেকে জনগণকে কী দিবেন ?
আব্দুস সবুর : ছাত্র অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ি। সেই থেকে রাজনীতিতে আমার পদচারণ। বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ। বিশ্বায়নের যুগে বিজ্ঞান-প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যতিরেকে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে একজন প্রকৌশলী হিসেবে দেশের উন্নয়নে এখান থেকে জনগণকে বিভিন্ন সেবা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ বাস্তবায়নে সর্বদা প্রস্তুত থাকবো।
পলিটিক্সনিউজ: আপনি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন?
আব্দুস সবুর : ‘বাংলাদেশ যে আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে তা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর কারণেই সম্ভব হয়েছে। আজকে সারাদেশের মানুষ মনে করে- শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন, তিনি যদি আবারও নির্বাচিত হন তবেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করবে এবং উন্নয়নের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমি একজন প্রকৌশলী হিসেবে এলাকায় অনেক কাজ করেছি এবং আগামীতে কাজ করার অনেক ইচ্ছে রয়েছে। বিশেষ করে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই আমি নির্বাচন করতে চাই এবং আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। মনোনয়ন বোর্ড এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে দাউদকান্দি এবং মেঘনাবাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।’
পলিটিক্সনিউজ: দাউদকান্দি-মেঘনা থেকে এবার আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক নেতা রয়েছে, তাদের থেকে নিজেকে কেন মনোনয়নের যোগ্য মনে করছেন?
আব্দুস সবুর : আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের মধ্যে একটি প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান, যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গঠিত এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার কারণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আওয়ামী লীগের মত একটি সুবিশাল সংগঠনে একাধিক প্রার্থী থাকাটাই স্বাভাবিক। একইসঙ্গে প্রতিযোগিতাও থাকবে। তার পরেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার সার্বিক বিবেচনায় যোগ্যতার দিক থেকে দাউদকান্দি- মেঘনাবাসী এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আমার বিষয়ে চিন্তা করবে। প্রকৌশলী হিসেবে আমার কাজ করার যোগ্যতা রয়েছে, যা হয়তো অন্যদের থেকে আমাকে আলাদা করেছে। এলাকাবাসীর বিশ্বাস রয়েছে যে, আমি নির্বাচিত হলে এলাকায় উন্নয়ন হবে।
পলিটিক্সনিউজ: আপনার এলাকার ভোটাররা আপনাকে কেন ভোট দেবে?
আব্দুস সবুর : আমার ছাত্রজীবন থেকেই এলাকার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক। এলাকার সব উন্নয়নের সঙ্গে আমি সব সময় জড়িত। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ভোটাররা বিশ্বাস করেন- বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ। এ সরকারই পারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে। শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে ছাত্ররাজনীতি থেকে আওয়ামী রাজনীতি পর্যন্ত এলাকাবাসী আমাকে দেখেছেন। তারা বিশ্বাস করেন- দাউদকান্দি-মেঘনার সার্বিক উন্নয়ন যদি করতে হয় তবে আমার কোনো বিকল্প নেই।
পলিটিক্সনিউজ: মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এলাকার কি কি উন্নয়ন করবেন?
আব্দুস সবুর : প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন বুলেট ট্রেনের। এটা হলে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতে এক ঘণ্টা, মেঘনায় যেতে আধা ঘণ্টা এবং দাউদকান্দি যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে। দাউদকান্দি-মেঘনাতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করবো। এতে করে আশপাশের থানাগুলোর জনগণ তিনটি ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও মেঘনা এবং দাউদকান্দিতে দুটি স্যাটেলাইট টাউন তৈরি করবো। এলাকায় পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ তৈরির উদ্যোগ নেব। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেব। শিক্ষিত, নিরক্ষরমুক্ত দাউদকান্দি-মেঘনা গড়ে তুলবো।