ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী বাংলাদেশ দখলের ঘোষণা দিয়েছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে সরকার বাংলাদেশে ভারতের হামলা চালানো ও বাংলাদেশকে দখল করে নেয়ার মতো বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী মারাত্মক হুমকিকে আমলে নেননি কেন? প্রতিবাদ করলেন না কেন? দেশের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেয়ায় পুনরায় প্রমাণিত হলো যে, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা অন্য কারো প্রতিভূ হিসাবে দেশ শাসন করে মাত্র। এই সরকারের কাছে ক্ষমতাই সবকিছু, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কিংবা মর্যাদার কোনো গুরুত্ব নেই। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সম্প্রতি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রভাবশালী নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য সুব্রামানিয়াম স্বামী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখলের এবং সমগ্র বাংলাদেশে দিল্লীর শাসন প্রতিষ্ঠার হুমকি দেয়ার খবর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরেও গত কয়েক দিনের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী আওয়ামী লীগ সরকার এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তিনি বলেন, এটা শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির পরিচায়ক নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌম ও মর্যাদা রক্ষায় সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতার নগ্ন প্রকাশ বলে দেশবাসী মনে করে।
তিনি বলেন, বিএনপি সকল নাগরিকের সংবিধান স্বীকৃত সমান অধিকারে বিশ্বাসী এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি গণতান্ত্রিক দল হিসাবে সুব্রামানিয়াম স্বামীর অভিযোগের যথার্থতা থাকলে সে বিষয়ে কার্যকর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীন স্বত্ত্বা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে তার প্রকাশ্য হুমকিকে অপ্রত্যাশিত, অকূটনীতিক এবং আগ্রাসী বলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছে।
রিজভী আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিকদের সংগঠন হিসাবে বিএনপি প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সরকারের ক্ষমাহীন নীরবতারও তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে।