প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপির শাখা হবে। জায়গার অভাবে প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ৬৬টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে স্টেডিয়ামগুলোর নামকরণ করা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) কমপ্লেক্সে একটি মাল্টিস্পোর্ট ইনডোর কমপ্লেক্স এবং ৬ জেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, খেলাধুলায় অনুপ্রাণিত করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গোল্ড ফুটবল টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন পর্যায়ের খেলাধুলার আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খেলাধুলা যেন হারিয়ে না যায় তার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। একসময় সাতচাড়া, হাডুডুসহ নানান খেলাধুলা হতো। এসব খেলাধুলা যেন হারিয়ে না যায় সেটাও দেখতে হবে। লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য, সারা বছর যাতে খেলাধুলা করা যায় সেজন্য মিনি স্টেডিয়ামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলাকে নিজের পরিবারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমার পরিবারের সবাই খেলাধুলা করতেন। তাই এ দেশে যাতে খেলাধুলা আরও বিকশিত হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে আমরা দক্ষ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যারা কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে নিজেদের উদ্যোগে কাজ করতে পারে। আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছি, এখানে বিনা জামানতে একজন যুবক ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নিজের প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্ষুদ্র আকারের ব্যবসা গড়ে তুলতে পারে। যুব সমাজকে যাতে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াতে না হয়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তারুণ্যই তো মেধা ও মনন বিকাশের সময়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এটা তরুণদের কাজ। আমরা আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি ভবিষ্যতের জন্য।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় এ ৬৬টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১৩১টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পটি ২০১৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে; যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা।