সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে সরকার জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল হোসেন।
মইনুল হোসেনের গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘একটি মানহানির মামলায় মইনুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানতে পেরেছি। যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই ঘটনার আরেকটি মামলায় তিনি আজ জামিন নিয়েছেন। এরপরও একের পর এক মামলা এবং গ্রেফতারের ঘটনা নিঃসন্দেহে আতঙ্কের। মইনুল হোসেন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন।’
মইনুল হোসেনের গ্রেফতার জাতীয় ঐক্যে প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মইনুল হোসেনের গ্রেফতার জতীয় ঐক্যফ্রন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকারের জন্য ঐক্য গড়েছি। সেখানে মইনুল হোসেনের মতো অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ভূমিকা রাখছেন। সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করছি।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) মামলার নথি দেখে আদালতে মুভ (শুনানি) করবো। মইনুল হোসেনের জামিনের জন্য অবশ্যই আদালতে দাঁড়াবো।’
উল্লেখ্য, টেলিভিশনের টক শো’তে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির এক মামলায় মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঢাকার উত্তরায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম রবের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার পর থেকে সমালোচনার মুখে রয়েছেন মইনুল। এক পর্যায়ে তিনি টেলিফোন করে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
তা না করায় মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও মানহানির অভিযোগে কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
এসব মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর মইনুল কয়েকটি মামলায় হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও রংপুরেরটিতে জামিন ছিল না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
রংপুরের মামলাটি হয় সোমবার বিকালে; মানহানির অভিযোগে মামলাটি করেন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের কর্মী মিলি মায়া। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করে মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।