আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে গিয়েছি। আমাদের সঙ্গে এখনও সরকারের কোনও প্রতিনিধি যোগাযোগ করেনি। যদি আমাদের আশ্বাস দেয়া হয় তাহলে আমরা যেকোনও মুহূর্তে কর্মবিরতি থেকে সরে আসবো। আমরা সেবাখাতে কাজ করি। আমরা অবহেলিত মানুষ। গাড়ি চালিয়ে সংসার পরিচালনা করি। আমরাতো আইন বাতিল চাইনি, সংশোধন চেয়েছি। বললেন বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের কাজ করার সুযোগ দিক। আমরা তো ধর্মঘট করছি না। আমরা কর্মবিরতিতে গেছি স্বেচ্ছায়। সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে আমরা কর্মবিরতি থেকে সরে আসবো। আমরাতো সরকারবিরোধী কোনও আন্দোলন করছি না। যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। আমরা সড়ক যোগাযোগ সচলের পক্ষে, অচলের পক্ষে নই।
তিনি আরও বলেন, গেল ২৭ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রত্যেক জেলা থেকে চার তারিখে স্মারকলিপি দিয়েছি। পরবর্তীতে মানববন্ধন করেছি। পরে মহাসমাবেশ থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি, আমরা কাজ করবো না।
সকাল ৬টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত কোনও সংস্থা থেকে কোনও বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের কোনও মহল থেকে কেউ এসে বলেনি; আপনারা আসেন, দাবি কি, আমরা বসি এমন কোন আশ্বাস কেউ দেয়নি।
কর্মবিরতির পরিধি আরও বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টার বেশি পরিধি বাড়াবো না। এরপরে সেন্ট্রাল কমিটির সঙ্গে বসে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব। তবে ৪৮ ঘণ্টা দেখি, এর মধ্যে সরকারের কেউ যদি আমাদের সঙ্গে বসে তাহলে আমরা যেকোনও মুহূর্তে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবো।