জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ আসামির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাস জেল দিয়েছেন আদালত। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদ সারাদেশে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
এর আগে, সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সারা দেশের জেলা সদরগুলোতে এবং মহানগরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মানুষ কখনই তা মেনে নেবে না। অতীতেও মেনে নেয়নি। এখনও তা মেনে নেবে না। জনগণ তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে তাদের এ ধরনের নীলনকশার চক্রান্ত প্রতিহত করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী, যিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, তিনি হেলিকপ্টারে জনসভা করে বেড়াচ্ছেন। নৌকার জন্য ভোট করছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে কখনোই একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।’
এই মামলার অপর তিন আসামিরা হলেন- হারিজ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ওইদিন থেকেই কারাবন্দী আছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার পুরাতন ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত চলা বিচার শেষে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া রায়ে জিয়া চ্যারিটেবলের নামে কাকরাইলে ক্রয়কৃত ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলামকে আদালত উপস্থিত করা হয়। তবে খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি হারিজ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।