‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শীর্ষক ৭ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন আদালতের এই আদেশের ফলে ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলীয় নেতৃত্ব হারাতে পারেন। নির্বাচনে তাদের দলীয় মনোনয়নও দেয়ার সুযোগ থাকছে না।
উল্লেখ্য, বিএনপি দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে গ্রহণের জন্য দাখিল করলে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। আইনজীবী ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।
দণ্ডিতরা পদে থাকতে পারবেন না- বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনীতে বাদ দেয়া এমন বিধান কেন বেআইনি ও সংবিধানের ৬৬ (ঘ)-এর পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেই সংশোধনীসহ বিএনপির নতুন গঠনতন্ত্র চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি জমা দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। তাতে দেখা যায়, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাটি সংশোধন করেছে।
গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাটিতে ছিলো- দুর্নীতিপরায়ণ কোনও ব্যক্তি বা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনও ব্যক্তি বিএনপির কোনও পর্যায়ের নেতৃত্বে আসতে পারবে না।