আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়ন দৃশ্যমান। এখন দেশের অগ্রযাত্রায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আপনারা এসেছেন জনগণের ভবন, এই `গণভবনে’ আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে সেই স্বাধীনতার সুফল যেন প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে পারে সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে গণভবনে প্রবেশ করতে থাকেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যাংকুয়েট হলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ড. কামালের বাসায় বৈঠক করে মোট ১০টি গাড়িতে করে শান্তিনগর হয়ে গণভবনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমেই ছিল ড. কামাল হোসেনের গাড়ি, এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য নেতারা ড. কামালের গাড়ি অনুসরণ করে।
এর আগে, এই সংলাপের জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১৬ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয় আওয়ামী লীগকে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে শেষ মুহূর্তে যোগ করা হয় আরও পাঁচজনের নাম।
আমন্ত্রণ পাওয়া ২১ জন হলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। তাদের সঙ্গে থাকছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম; গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন ও সহসভাপতি তানিয়া রব; ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে থাকছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের তিন জন হলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ।