জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি চায় ছোট পরিসরে আবারো সংলাপ হতে পারে। ব্যাপারটি তাদের সিদ্ধান্তের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেড়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটর সেন্টার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসানের নেতৃত্বে মির্জা ফখরুল, রব এসেছিলেন। সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে খোলামেলা পরিবেশে আলোচনা হয়। সংলাপের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। অপজিশন কীভাবে রিয়েক্ট করে এটা তাদের ব্যাপার। আমি তো মনে করি না এখানে ব্যর্থতার কিছু আছে। শুরুটা ভালো হয়েছে। তাদের ৭ দফার ৩টি বিষয়ে আমাদের কোনও বাধা, আপত্তি থাকবে না।
কাদের বলেন, দীর্ঘদিনের লং গ্যাপ, ডিস্টেন্সকে রাতারাতি ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন সম্ভব না, ক্লোজ করাও সম্ভব না। কিন্তু গতকাল কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের যাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাদের তালিকা পাঠাতে বলেছি। এ তালিকা অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার তিন ঘন্টার বেশি চলা সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে সংলাপ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আলোচনায় সন্তুষ্ট নই।
জাতীয় ঐক্যফন্টের নেতা ড. কামাল বলেছিলেন, গণভবনে আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। সংলাপে সভা-সমাবেশ ছাড়া কোনও বিষয়ে বিশেষ সমাধান পাইনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ জন নেতা সংলাপে অংশ নেন। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতা অংশ নেন।