বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।
জানাজায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন,সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা প্রমুখ অংশ নেন।
এছাড়াও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াত নেতা শামিম সাঈদী অংশ নেন।
জানাজা শেষে দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব ফুল দিয়ে দলীয় পতাকায় মোড়ানো তরিকুল ইসলামের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তরিকুল ইসলাম আমাদের মাঝ থেকে চলে গেয়ে আমাদেরকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ও দলের কঠিন সময়ে তিনি চলে গেছেন। তার এই চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি।
তরিকুলের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তরিকুল ইসলাম দল ও দেশের কাজ করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য সংগ্রাম করেছেন। অন্যায়ের সাথে কখনো তিনি আপস করেননি। ফলে দল হারালো উচ্চ মানের প্রজ্ঞাবান একজন নেতাকে আর জাতি হারালো একজন জাতীয় নেতাকে।
এর আগে সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে লাশবাহী গাড়িতে তরিকুল ইসলামের মরদেহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়।
রবিবার ( ৪ নভেম্বর) ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তরিকুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজনরা দেখার পর রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয় মরদেহ।
এদিকে বরেণ্য এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে আজ শোক পালন করছে বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি কালো পতাকা তোলা হয়েছে। এছাড়াও দলের নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করছেন।
রবিববার রাতে শান্তিনগর মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় যশোর ঈদগাঁ মাঠে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হবে।