সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে দেওয়া সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী ৮ নভেম্বর রাজশাহীর উদ্দেশে রোড মার্চ এবং ৯ নভেম্বর সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে দেওয়া সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী ৮ নভেম্বর রাজশাহীর উদ্দেশে রোড মার্চ এবং ৯ নভেম্বর সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমাদের এর পরের কর্মসূচি হলো, খুলনায় জনসভা। তারপরও দাবি না মানলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে লংমার্চ করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মিথ্যা মামলা করেছে সরকার। সাইবার দলের ২৫ জন নেতা-কর্মীদের তুলে নেওয়া হয়েছে। কোনো সংবাদ নেই। অনেকে কারাগারে আছেন। অন্যায়ভাবে ব্যারিস্টার মইনুলকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমরা আগামীকাল আবারও সংলাপে যাব। সেখানে সব দাবি তুলে ধরা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাত দফা দাবি সারাদেশের জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই। এই তফসিল চাই না, ভোটের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, লাগামহীনভাবে দুর্নীতি করেছে এই সরকার। এবার আর পারবে না। মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে জেলে দিয়েছে। এরপরেও আমরা রাজপথ ছেড়ে সংলাপে গিয়েছি। শান্তিপূর্ণভাবে সব সমাধান চেয়েছি। কিন্তু সরকারের কানে যাচ্ছে না। একদিকে সংলাপ, অন্যদিকে গ্রেফতার, আবার আরেকদিকে তফসিল। সবই নাটক বলে মনে হচ্ছে।
মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪টি মামলা ছিল। তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। আমার নেত্রী যাননি। প্যারোলে মুক্তি নিয়েও যাবেন না। যেদিনই হোক, আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।