বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। এ পরিবর্তন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণ-অবস্থান করতে হবে। গণ-অবস্থানেই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ অনেকদিন থেকে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এ দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার জন্য নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা সুযোগ এসেছিল। যে সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল সেই সংলাপের মধ্য দিয়ে একটি সমাধান আনা সম্ভব ছিল এবং তাতেহ দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো। জনগণের ভোটের মাধ্যমে একজন জনপ্রতিনিধি জাতীয় সংসদের সদস্য হতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে সরকারের জেদের কারণে তাদের আত্মরক্ষার জেদের কারণে তা সম্ভব হলো না।’
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে লেবার পার্টির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে আবার জেলে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো জানতে পারলাম না, যে অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল সেই অসুস্থতা থেকে তিনি মুক্ত হয়েছেন কিনা। যে ডাক্তাররা বেগম জিয়াকে আগে চিকিৎসা করিয়েছিলেন যাদেরকে আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বোর্ডে রাখতে বলেছিলাম তারাও জানে না তাঁর এখন কী অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ৭১ বছর বয়সের অসুস্থ একজন মানুষ। তাঁকে হাসপাতালে রাখলে সরকারের কি এমন সমস্যা হতো। কিন্তু না, তাকে কারাগারে পাঠাতে হবে। যেখানে একজন সুস্থ মানুষ থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবে এমন কারাগারে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে।’
দেশের যুবসমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জনগণ পরিবর্তন চায়। আর সে পরিবর্তনের দায়িত্ব আমাদের সবার কাঁধে। যুবকদের এই দায়িত্ব বেশি করে নিতে হবে। গণ-অবস্থান করে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মনে রাখবেন দু-চারজন আন্দোলন করলে গ্রেফতার হবেন। দশ-বিশজন আন্দোলন করলে গুলি করবে। আর হাজার হাজার জন আন্দোলন করলে কিছুই করতে পারবে না। তাই আমাদের হাজার হাজার জনগণ এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে। তাহলেই দেশের অবস্থা পরিবর্তন হবে।’
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জিনাফ সভাপতি লায়ন মো.আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ও শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।