৭ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্ততি একসঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের তিন তলার নতুন হলে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জাতির সামনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জনগণ আজকে ঐক্যবদ্ধ। জনগণ আজকে পরিবর্তন চায়। আইনের শাসন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও মূল্যবোধ থেকে এই ঐক্য গঠন করা হয়েছে।’
৭ দফা দাবি আদায় না হলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কিনা? জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রবীন এই আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসে দেখা গেছে জনগণ যখনই ঐক্যবব্ধ হয়েছে, তখনই আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। জনগণ তাদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। ইনশাআল্লাহ এইবারও হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেনের পক্ষে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের অংশ নেয়ার ঘোঘণা দেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া, ভোটের তফসিল এক মাস পেছানোরও দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুলতান মো. মুনসুর, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হাবীবুর রহমান হাবীব, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আবদুল মালেক প্রমুখ।
এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছিল বিএনপি ও তাদের শরিক দলগুলোর মধ্যে।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার বিকেলে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে বিএনপি। কাছাকাছি সময়ে অপর একটি কক্ষে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গেও বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে এলডিপি প্রেসিডেন্ট কর্নেল অলি আহমদ সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার ব্যাপারে আগামী দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে ২০ দল।