যাদের ধর্মীয় জ্ঞানে স্বল্পতা রয়েছে তারাই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। রবিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি আহবায়ক সমিতি আয়োজনে অগ্রবাদ ধর্ম ও জঙ্গিবিরোধী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করার আহবান করে বলেন, ‘আপনারা যারা ধর্মীয় শিক্ষক রয়েছেন তাদের প্রতি আমার আবেদন যারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করাতে আপনারা যথাযথ শিক্ষা দান করবেন। এবং যাতে করে তারা জঙ্গিবাদের সাথে সঙ্গবদ্ধ না হতো পারে।’
মাদ্রাসা ছাত্ররা জঙ্গি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় বড় জঙ্গি কর্মকাণ্ড কারা করেছে? তারা সবাই নামকরা বিদ্যালয়ের ছাত্র, ইংলিশ মিডিয়াম ছাত্র। তাদের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার একমাত্র কারণ তারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না। তারা যদি সঠিক ধর্ম শিক্ষা পেতো তাহলে এই জঙ্গি কর্মকাণ্ড সাথে সংযোগ হতো না।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গি কর্মকাণ্ড করে ইহুদি-নাছারা তারা মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে তারা বাংলাদেশেও এটা চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারে নাই।’
তিনি ফেসবুকের সুফলতা-কুফলতা তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমান ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে যারা ধর্ম সম্পর্কে তেমন জানে না তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে এই জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সাথে সংযোগ করছে। ফেসবুক একটি ভালো জিনিস তবে এটা খারাপের দিকে পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা ভালো দিকগুলো ব্যবহার করবো এবং মন্দ দিকগুলো থেকে দূরে থাকবো।’
উন্নয়নে বান্ধবদের ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা আগামী নির্বাচনে যারা ভোটার অধিকার প্রয়োগ করবে তাকেই ভোট দিবেন। যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করেছে, দেশের শান্তির পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে গ্রহণযোগ্য করবেন।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হযরত মুহাম্মদ আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, সংগঠনের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।