আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে তিনশ’ আসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১১ নভেম্বর) রাতে জনপ্রশাসন সচিবকে দেওয়া ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী, ২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষে তিনশ’ নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।’
প্রতিটি উপজেলায় একজন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩ থেকে ৪টি ওয়ার্ডের জন্য একজন, সিটি করপোরেশন ছাড়া জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় এক থেকে দু’জন এবং পাবর্ত্য এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ৩ থেকে ৪টি উপজেলার জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সংশ্লিষ্ট উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। যেসব সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত নেই, সেসব উপজেলায়, জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অথবা বিভাগীয় বা অন্য কোনো অফিস/ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্বাচনের আচরণবিধি পালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানায় ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনা ৮ নভেম্বর থেকে ভোটের পরের দিন (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আচরণ বিধি লঙ্ঘন হলে সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঘোষণা করেছে ইসি। তবে নির্বাচন পেছালেও এই নির্দেশনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।