প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের আগে-পরে অনেক ধর্মীয় উৎসব আছে। তাই নানা দিক বিবেচনা করে নির্বাচন পেছানোর আর কোনও সুযোগ নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, সংসদ ও সরকার বহাল থেকে এবার নির্বাচন হওয়ায় অন্যান্যবারের থেকে এবারের পেক্ষাপট ভিন্ন। কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কখনও সেনাবাহিনী এবং একক দলের নির্বাচন হয়। তাই এবার ভোটে রাজনৈতিক চাপ বেশি। এবার নতুন আইনে এবং ভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে। তাই এবার জাতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
এছাড়া মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের থেকে চাপ এলে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
দায়িত্ব পালনে কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবেন না, কমিশনের আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করবেন, অতি উৎসাহী আচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি চালক হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সেই গাড়ির ফুয়েল হিসেবে কাজ করতে হবে। তাই আপনাদের নিরপেক্ষ থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন।