একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফাঁদে পা না দিয়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানায় বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উত্থাপিত দাবির বিষয়ে কোনও সমাধান না করে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। একে ‘একতরফা নির্বাচনের জন্য সরকারের ফাঁদ’বলে জনমনে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। তাই সেই ফাঁদে পা না দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণতান্ত্রিক জোট।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মেনে নেওয়া নয়। অংশ নিচ্ছি সংগ্রামের পদ্ধতিগত অংশ হিসেবে।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন না করার কারণ, তখন সেটা ছিল ‘নো’ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচন হচ্ছে ‘ব্যাড’। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এই জোট। পরিস্থিতি দাবি করলে তারা নির্বাচন বর্জনও করতে পারে।
সেলিম বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, তা দেশবাসী মনে করে না। এখন যে নির্বাচন হবে, তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন হবে। এছাড়া মনোনয়নপত্র কেনার সময়ে শোডাউন করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বিক্রিতে কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, আবদুস সাত্তার, হামিদুল হক প্রমুখ।