একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ প্রার্থী হলে তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে ছোট নেতা বা বড় নেতা দেখা হবে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
৪ হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রি হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে দলীয় ফান্ড সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল যে নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে তা এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে। যেসব আসনে মনোনয়নপত্র বেশি কেনা হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব শূন্যতা রয়েছে, সেখানে যত বড় নেতাই হোক না কেন, তারা পার্টিকে অর্গানাইজ করতে পারে নাই। এটা তাদের নেতৃত্ব শূন্যতার প্রমাণ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষমতায় আসলে অনেক পদ সৃষ্টি করে সেখানে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জরিপে যাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদেরই মনোনয়ন দেয়া হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই মনোনয়ন দেয়া হবে।
তিনি বলেন, যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করা হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। একটা সিটও হারাবো কারো এমন মনোভাব পোষণ করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলের যারা ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়ে আছেন তাদেরকে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে না। গত দুই নির্বাচনে ক্ষমতায় এনেছি, এবারও আমিই ক্ষমতায় আনবো- এটা মনে করে কোনো লাভ নেই। প্রার্থীর নিজ নিজ যোগ্যতা, দক্ষতা, রাজনৈতিক ত্যাগ-তীতিক্ষা থাকতে হবে। জনসম্পৃক্ত হতে হবে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে, কর্মী আছে, ভোট আছে কিন্তু ইদানীং দৃশ্যমান কর্মী নেই। ১৯৮১ সালে নেতৃত্বে এসে দলকে সংগঠিত করেছি। তিলে তিলে এই দলকে গড়ে তুলেছি। আমি রেহানা, জয়, পুতুলসহ আমার পরিবারের সদস্যরা অনেক অসহায় সময় পার করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু কেউ আওয়ামী লীগকে দমাতে পারেনি। এখনও নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।