ডিসেম্বর মাস আসলেই বিএনপি-জামায়াত জোট ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ‘হয়তো তাদের মনে হয় একাত্তরের সেই পরাজয়ের কথা। এ কারণে তারা হয়তো ডিসেম্বর মাস আসলেই যে কোনোভাবেই তারা আশংঙ্কিত, আতঙ্কিত থাকে।’ আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের সংবাদ সম্মেলনে জোটের মুখপাত্র মোহম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দর সুষ্ঠুভাবে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ সহায়তা তারা করবে। জনগণের রায়ের জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করছি। সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। জনগণের রায়ই হচ্ছে শেষ কথা, চরম কথা। যার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনী সরকার উপহার দিতে পারবে। ’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এ সদস্য বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করি ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মাসে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলো পরাজিত হয়নি। একাত্তর সালে আমরা সেই পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতির নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগ সেই নেতৃত্ব দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সত্যিই নেতৃত্বে দিয়েছিল। সেই বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এখনও বিশ্বাস করি ডিসেম্বর মাস আসলেই বিজয়ের জন্য বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে অপশক্তির বিরুদ্ধে। গত ২০০৯ সালের নির্বাচনে আমরা ডিসেম্বর মাসে বিজয় অর্জন করেছিলাম। সমস্ত বিজয় এসেছে বাঙালির এই ডিসেম্বর মাসে।’
আগামী ডিসেম্বরে ১৪ দল বিজয় অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নাসিম বলেন, ‘যেকারণে এবারও আমি বিশ্বাস করি আমরা আশা করি ১৪ দল মুজিবের পক্ষে চেতনার বড় শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ডিসেম্বরের নির্বাচনেও আবার সেই অপশক্তিকে, একাত্তরের অপশক্তিকে আমরা পরাজিত করে বিজয় অর্জন করব আশা করি।’
১৪ দল মুখপাত্র বলেন, ‘এই ডিসেম্বর মাস আসলেই কী কারণে বুঝি না বিএনপি-জামায়াত জোট ভয় পায়। হয়তো তাদের মনে হয় একাত্তরের সেই পরাজয়ের কথা। এ কারণে তারা হয়তো ডিসেম্বর মাস আসলেই যেকোনোভাবেই তারা আশঙ্কিত আতঙ্কিত থাকে। যে কারণে আমরা লক্ষ্য করলাম ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন যখন পুনঃনির্ধারণ করল নির্বাচন কমিশন। তারপরও ঐক্যফ্রন্ট, ড. কামাল হোসেনের পক্ষে যে ঐক্যফ্রন্ট হয়েছে এখানে বিএনপিও আছে এবং অন্য যে শক্তিগুলো আছে নির্বাচন কমিশন তাদের নেতৃত্ব যারা আছে। তাদের আবেদন করার পরও নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।’