দেশের অন্যান্য জায়গার মতো একাদশ সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে বরিশাল ৫ ও ৬ আসনেও। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। টিকিট নিশ্চিতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে দৌড়-ঝাঁপ চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এখানকার পাঁচ নম্বর সংসদীয় আসন। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭ জন। ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বরিশাল ছয় আসনের ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৯ জন। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপর এখানকার দুই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী বরিশাল পাঁচ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে স্পিকার ও পরে রাষ্ট্রপতি হন প্রয়াত আব্দুর রহমান বিশ্বাস। পরবর্তী সময়ও বেশ কয়েকবার আসনটি বিএনপির দখলে থাকে। বর্তমানে আসনটিতে ক্ষমতাসীন দলের এমপি থাকলেও, দলীয় নেতাকর্মীরা চাইছেন কোনও শক্তিশালী প্রার্থী দিয়ে বিএনপির এ দুর্গ ভাঙতে। দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আছেন বর্তমান সংসদ সদস্যসহ আটজন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার স্বামী মরহুম সৌকত হোসেন হিরণ যে কাজগুলো করে গেছেন এবং যেগুলো করতে পারেননি সেগুলো শেষ করার পথে। সৌকত হোসেনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে স্নেহাশিস আছে সেক্ষেত্রে আমি মনোনয়ন পেতে পারি।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান রিন্টু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে বরিশালের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারব।
অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, বিলকিস জাহান শিরিন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে মনোনয়ন চাইছেন চরমোনাই পীরের ভাই মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।
এদিকে ছয় নম্বর আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান মজবুত হলেও মহাজোটের কারণে গত দু’বার আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাইছে আসনটি তাদের দখলে নিতে। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল হাফিজ মল্লিক, উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম চুন্নুসহ বেশ কয়েকজন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান ডাকুয়া বলেন, সকলস্তরের নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি অন্তত এবার যেন এ আসনটি আওয়ামী লীগের কোনও প্রার্থীকে দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক বলেন, আমি যেহেতু গত দুইবার নমিনেশন পেয়েছিলাম এবং দেশ ও দলের স্বার্থে সেটা সেক্রিফাইজ করেছিলাম। আমি আশা করি নেত্রী আমাকে নমিনেশন দেবেন।
এ আসন থেকে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করতে চান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খান বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই আমরা কাজ করবো।
জাতীয় পার্টির পক্ষে এবারও নিজ আসন ধরে রাখতে চান বর্তমান সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্মা।